~ নামায নিয়ে ধারাবাহিক লেখার পর্ব-৩ ~
মক্কা। সুবহে সাদিক। উমার (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) তখন ইসলামের খলীফা। তিনি ঘুম থেকে উঠলেন। ফজরের নামাজের জন্য তিনি সব মুসলিমদের জাগানো শুরু করলেন। সবাই মসজিদে আসলে তিনি ইমাম হিসেবে নামাজ শুরু করলেন।
নামাজ হচ্ছে। একজন ইহুদি কৃতদাস দৌড়ে এসে একটি ধারালো চাকু দিয়ে তাঁকে কয়েকবার আঘাত করল। তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন। হতভম্ব, আতঙ্কিত মুসলিমরা তাঁকে দুধ এনে দিলেন পান করা জন্য । তিনি দুধে চুমুক দিলে দুধ ও রক্ত তার ফুটো হয়ে যাওয়া পাকস্থলী দিয়ে বের হয়ে আসতে লাগল। সবাই বুঝতে পারছিল, উমার (রা) চলে যাচ্ছেন আল্লাহর কাছে। উমার (রা), সারা জীবন যা কিছু করেছেন ইসলামের জন্য, তিনি এভাবে মারা যাচ্ছেন সবার চোখের সামনে।
তিনি জ্ঞান হারালেন। উঠলেন। জিজ্ঞেস করলেন-“আমি কি ফজরের সালাত পড়েছি ? Have I prayed the Fajr Prayer ?? ”
তারা বললেন- না উমার ।
তিনি সংজ্ঞা হারালেন। আবার উঠলেন। “আমি কি ফজরের সালাত পড়েছি ? ” ” না উমার ”
তৃতীয়বার তিনি জ্ঞান হারালেন। আবার উঠলেন। আবার জিজ্ঞেস করলেন- “আমি কি ফজরের সালাত পড়েছি ? ”
“না উমার। আপনি পড়ে গিয়েছিলেন নামায পড়া অবস্থায়”
তারঁ ছেলে তাঁর মাথার নিচে একটি বালিশ দিল। তিনি চিৎকার করে বললেন- “বালিশ সরাও ! আর আমার মাথা ধূলাবালির মধ্যে রাখ। হয়ত আল্লাহ আমার ধূলা-ময়লাওয়ালা মাথা দেখে আমাকে করুনা করবেন”
কারন ?কারন তিনি একটিমাত্র সালাত মিস করেছিলেন। Because He missed one prayer.
ONE PRAYER.
এমনকি তাঁর দোষ-ও ছিলনা, তিনি নামাযের মধ্যেই ছিলেন।
দেখুন তাঁর মর্যাদা, দেখুন তিনি আল্লাহকে কতটা ভালবাসতেন। He was guaranteed paradise, yet look how worried he was that he missed one prayer.
HOW MANY PRAYERS DO WE MISS ? ? ?
আপনি চাইলে নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আপনার অফিস ৮টায়, ফজরের নামায ৬ টায়। রাতে ঘুমাতে দেরি হয়েছিল, আপনি ঘুম থেকে উঠে দেখলেন ৯টা বাজে। আপনি নামাজ মিস করেছেন, আপনি অফিস মিস করেছেন।
আপনি নামাজের জন্য ৩ ঘন্টা লেইট, অফিসের জন্য ১ ঘন্টা লেইট।
Which one are your more worried for ? Which one are you more Upset for ???
When in reality the greatest, the most important pillar of Islam after the shadadah is our Salah (Prayer). THE MOST IMPORTANT PILLAR.
Yet we neglect it the MOST.
Isn’t it sad ? ISN’T IT SAD ??? Isn’t it high time we should focus ?
আলী(রা)-র নাম ছিল আসাদুল্লাহ ( আল্লাহর সিংহ) . ইতিহাসে তাঁর মতন সাহসী যোদ্ধা প্রায় বিরল । যোদ্ধা আলীর সাহসের কোন সংজ্ঞা নাই। তাঁর বর্মের কোন পিছনের অংশ ছিল না। একটা যুদ্ধে নিহত শত্রুর অর্ধেক মেরেছিলেন একা আলী (রা). তিনি তলোয়ারের এক কোপে একাধিক শত্রু কে দুই টুকরা করতে পারতেন। তিনি কোনদিন কোন যোদ্ধার কাছে পরাজিত হন নাই। তিনি কোনদিন যুদ্ধের ময়দান ত্যাগ করেন নাই। দশজনের দলে আলী(রা) কে দেখলে শত্রুরা বলত – ওরা ১১০ জন।
তাঁর তলোয়ারটির নাম ছিল যুলফিকার। এটি তাঁর চাচাত ভাই রাসুলুল্লাহ(সা) তাঁকে দিয়েছিলেন। এটির দুইটি ব্লেড ছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচে বিখ্যাত ৫টি তলোয়ারের মধ্যে এটি একটি। এখানে বাকি ৪টি পাবেন।
আলী (রা) রাসুলুল্লাহ (সঃ) কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। মহানবী(স) তাঁকে বলেছিলেন- “কেউ একটা নামাজ পূর্ন খুশু ( concentration ) নিয়ে পড়তে পারবেনা।
আলী (রা) বললেন- আমি পারি।
মহানবী (সঃ) বললেন- তুমি যদি পার, আমি তোমাকে আমার একটি পোষাক দিয়ে দিব।
আলী বললেন- ঠিক আছে। তিনি নামায শুরু করলেন। সালাম ফিরালেন।
মহানবী(স) বললেন- তুমি কি পূর্ন মনোযোগ দিতে পেরেছ ?
আলী(রা) বললেন- “ইয়া রাসুলুল্লাহ ! আমি পুরো নামাযে মনোযোগ দিয়েছি। খালি একদম শেষে এসে একবার মাত্র আমার মনে হয়েছিল যে আপনি কি আমাকে নতুন পোষাক দিবেন নাকি পুরানো পোশাক দিবেন ”
He dared to challenge even the Prophet( saw) .
এই আলী(রা), ওযূ করার সময় কাঁপতেন। ঠান্ডায় না, আবেগে ও ভয়ে। সবাই জিজ্ঞেস করত – আলী আপনি কাঁপছেন কেন ?
আলী(রা) বলতেন- আমি কাপঁব না কেন ? তোমরা কি জাননা আমি কার সাথে কথা বলতে যাচ্ছি ?? আমি মহাজগতের প্রভুর সামনে দাঁড়াতে যাচ্ছি। I’m going to meet the Lord of the heavens and the Earth. I’m going to stand before the Lord of the Heavens and the Earth.
কেন আল্লাহ আলী(রা) কে এত মর্যাদা দিয়েছিলেন ?? কিসের জন্য ?
একদিন আলী (রা) ঘরে নামায পড়ছিলেন। তার ঘরে আগুন লেগে গেল।
মানুষজন জড় হয়ে চিৎকার শুরু করল ” আলী আপনার ঘরে আগুন লেগেছে ! ”
তিনি শুনলেন না। নামায শেষ করে সালাম ফিরিয়ে তিনি বের হয়ে এলেন।
সবাই বলল- আমরা এত জোরে ডাকলাম, আপনি শুনলেন না কেন ?
আলী(রা) বললেন- ” আশ্চর্য ! সালাত আদায়ের সময় তুমি কিভাবে অন্য কথা শুনবে ? সালাতের মধ্যে কি অন্য কোনকিছু শুনা সম্ভব ??? ”
আমাদের কি আছে এই মনোযোগ? আমরা কি সালাতকে এইরকম মূল্য দিয়েছি আমাদের জীবনে ??
আমরা কি সালাতকে “প্রতিষ্ঠা” করতে পেরেছি আদৌ ?
Have you ever thought or realized that you are actually talking to Allah in your Salahs ??
সালাত শুধু ওঠা বসা আর কিছু মুখস্ত কথা আওড়ানো নয়। আপনি স্রষ্টার সামনে দাঁড়াবেন, তিনি আপনার দিকে তাকিয়ে আপনার কথা শুনবেন। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে ? ১৪০০ বছর আগের একটা গ্রন্থে আল্লাহ আপনাকে ৭০০ বার সালাত আদায় করতে বলেছেন। একি কথা ৭০০ বার । ইচ্ছা করলেই আপনি আজকে ৫ বার মসজিদে যেতে পারেন। ইচ্ছা করলেই। আপনার বস আপনাকে কিছু বলবে না, কেউ আপনাকে বকবে না, হাসবে না। ইচ্ছা করলেই আপনি কালকে সকালে ৬টায় মসজিদে যেতে পারেন। কি সুন্দর একটা সময় সেটা, একটু একটু কুয়াশা পড়ে, নিঃশ্বাসের সাথে বাস্প বের হয়।
Brothers and sisters in Islam, Salah is the most important pillar in Islam after the shahadah. Yet, many muslims, will not pray. Even after reading this. You don’t want to be one of them, right ?? You should know that you No longer are a Muslim when you are denying/skipping your prayers.
প্রতিষ্ঠা মানে হচ্ছে একটা জিনিসকে আপনার জীবনে স্থায়ীভাবে খুঁটির মতন গেড়ে ফেলা। আপনি একটা কাঠের টুকরা নিন। সেটায় ৫টা মোটা মোটা পেরেক পুতে দিন। এবার কাঠের বোর্ড টাকে সমুদ্রের পানিতে এক বছরের জন্য ফেলে দিন। এক বছর পরে যখন আপনি সেটিকে আবার তুলবেন, শত ঝড়-তুফান-সাইক্লোন এর পরও পেরেক পেরেকের যায়গায় প্রতিষ্ঠিত থাকবে। একিভাবে আমাদের জীবনেও উঠা নামা সুখ দুঃখ হাসি কান্না ঝড় থাকবেই। একমাত্র প্রতিদিন ৫ বার সালাতই পারে আপনাকে বার বার মনে করিয়ে দিতে যে, এসব কিচ্ছু না। এই পৃথিবীর দুই টাকার দামও নেই। সালাত আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনি আসলে কোথা থেকে এসেছেন ও কোথায় আপনার আসল বাড়ি। কিন্তু বাস্তবিক জীবনে আসলে বেশিরভাগ মুসলিমের সালাতগুলো পেরেক নয়, ঠুনকো আলপিনের মতন দূর্বল। হালকা বাতাস পেলেই তাদের খুটি উপড়ে যায়।
সালাত প্রতিষ্ঠার অর্থ কি আপনি পুরোপুরি অনুভব করেন? আমি আপনাকে বলে দিচ্ছি। সজ্ঞানে কোন অবস্থাতেই আপনি ইচ্ছাকৃত অবস্থায় সালাত ত্যাগ করতে পারবেন না ও বিনা কারনে জামায়াহ( পুরুষ হলে) ত্যাগ করতে পারবেন না। যদি এমন হয় যে আপনি নামাজ পড়ছেন আর আপনার বাসায় আগুন লেগেছে, হ্যা, সেটা একটা যুক্তিসঙ্গত কারন। কিন্তু আজকে বিকালে যদি আপনার বাবা মারা যান, আপনাকে মাগরিব এবং এশার সালাত আদায় করতে হবে। এর কোন ব্যতিক্রম নেই মুসলিমের জীবনে। আপনার সালাত সালাতের যায়গায় থাকবে, বাকি জীবনযাত্রার যা ইচ্ছা হবে। আপনি দেখবেন কিভাবে আল্লাহ্ আপনার জীবন চালিয়ে নেন। আপনি নিজের চোখে দেখতে পারবেন।
আমি আপনাকে একটা লিটমাস টেস্ট বলে দিচ্ছি। কে কতটুকু ইসলাম পালন করে বা কে কোন লেভেল এর মুসলিম, এটা আপনি শুধুমাত্র একটা জিনিস দিয়েই বুঝতে পারবেন, আর কিচ্ছু লাগবে না। তা হল সে তার সালাতগুলো কে কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে।
-সে কি প্রত্যেকটি সালাত মাসজিদে/জামায়াতে আদায় করে?
– মাঝে মাঝে করে না এটা তার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ?
– আযান হলেই কি সে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নামাযের প্রস্তুতিতে?
– সে কি নামাযগুলোকে এত গুরুত্ব দেয় যে এজন্য সে পৃথিবীর অন্যান্য কিছু টুকটাক কাজকে স্যাক্রিফাইস পর্যন্ত করে? আছে এরকম কোন বন্ধু আপনার?
– নাকি সে নামাজ পড়ে, কিন্তু বন্ধুদের আড্ডায় এলে বলে- থাক বাসায় যেয়ে পড়ে নিব … ?
– নাকি সে অফিস, কাজ, পরিবার, বন্ধু, খেলা দেখা নিয়ে এত বেশি ‘ব্যস্ত’ যে তার নামাযের সময় হয়না?
– সে কি বিশ্বকাপ বা বাংলাদেশের খেলা বা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের খেলা শুরু হলেই নামাজের কথা ভুলে যায়?
– সে কি দেশ, জাতি, সমাজ, রাজনীতি, প্রজন্ম চেতনা, নিয়ে চায়ের কাপে গলার রগ ফুলিয়ে তর্ক করে……কিন্তু নামাযের কথা বললেই একটা সস্তা অজুহাত দেখিয়ে দেয়?
– নাকি সে এমন, আসলে তার একটা মুসলিম নাম আছে, কিন্তু তার জীবনে সালাত নামক বস্তুটার শুক্রবার আর ঈদের দিন ছাড়া কোন অস্তিত্ব নেই?
আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কে কেমন মুসলিম। আর কথাগুলো আপনার নিজের জন্য-ও। আমি আপনাকে/কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু লিখি না, কাউকে আঘাত করাও আমার কোন উদ্দেশ্য নয়। আমি এত কম সময়ের জন্য পৃথিবীতে এসেছি যে এই অল্প কয়েকদিন সময়ে আমি ঘৃনা না ছড়িয়ে বরং ভাল কিছু করার চেষ্টা করে যাই। আমার লেখা একটি রিমাইন্ডার মাত্র।
Wallahu Alam ( And Allah Knows Best).
২৪/১২/১৩
Inspiration!
May Allah accept your good deeds, and make them cause of JANNAH!
Ameen!