সিপিডির সংলাপ

জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি ঝুঁকিতে ফেলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল সিপিডি আয়োজিত ‘জি৭ সামিট ইন ২০২৩’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্য রাখেন অতিথিরা ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ওপর নির্ভরতা ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি ঝুঁকিতে ফেলবে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এলএনজিসহ সবধরনের জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ কমাতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ আরো বাড়াতে হবে। এজন্য সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি বাড়াতে হবে বেসরকারি বিনিয়োগও। 

সিপিডির এক সংলাপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। 

গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে সিপিডি আয়োজিত আসন্ন ‘জি৭ (গ্রুপ অব সেভেন) সামিট ইন ২০২৩’ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশের কার্বন নিঃসরণে নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত সংলাপে এসব প্রস্তাব করেন গবেষকরা। জাপানের হিরোশিমায় আগামী ১৯-২১ মে ৪৯তম ‘জি৭ সামিট’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সামিটের বিষয় নিয়েই মূলত আলোচনাটির আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমাতে তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতিমতো অর্থছাড় দিচ্ছে না। এজন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করা হচ্ছে। ২০১৬-২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা পেয়েছে বাংলাদেশ, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ অর্থায়ন ব্যবস্থায় উন্নত না হলে ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা পূরণ করা সম্ভব হবে না। এজন্য ২০২৪-৪০ সময়সীমার মধ্যে প্রতি বছর গড়ে দেড় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। তাই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জি৭ সদস্যসহ অন্য উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।’

সিপিডির গবেষণা পরিচালক আরো বলেন, ‘জি৭ দেশগুলো এ মুহূর্তে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেনের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইছে। যদিও এখানে ঐক্যবদ্ধ প্রতিষ্ঠিত হয়নি, কিন্তু এখানে তাদের একটি অবস্থান রয়েছে। যে দেশগুলো এখনো আর্থিকভাবে সক্ষম না, তাদের জন্য এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যয়বহুল হবে। তাই এটি নিরুৎসাহিত করা দরকার।’

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয়, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, জার্মান দূতাবাসের সহযোগিতা শাখার প্রধান ফ্লোরিয়ান হোলেন, জাপান দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান তাতসুয়া মাচিদা ও ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকশিনার ম্যাট কনেল। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন