সিপিডির সংলাপে জাপানের রাষ্ট্রদূত

দুই বছরে ৬৮% জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা বৃদ্ধিতে আগ্রহী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জাপান সফর বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার একটি ভিত্তি ছিল। আগামী দুই বছরে ৬৮ শতাংশ জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে চায়। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভাবছে জাপান। জাপানের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। তবে সেই চাহিদা মেটাতে হলে বাংলাদেশকে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য প্রশিক্ষণের দিকে মনোযোগী হতে হবে।

গতকাল রাজধানীতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাংলাদেশ-জাপান পার্টনারশিপ ফর দ্য নেক্সট ডেভেলপমেন্ট জার্নি শীর্ষক এক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক . ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানে জনশক্তি পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্র অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধুতে কখনো মনোমালিন্য হয়নি। সরকার জাপানকে সবসময় উচ্চ মর্যাদা দিয়ে থাকে। এক সময় কেউ বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ চুক্তি করতে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। তবে জাপান নিজেই এফটিএ চুক্তির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সুযোগটিকে কাজে লাগাতে চায়।

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে চায় জাপান। এজন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সম্পাদন এবং উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করা হবে। এদেশে জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ প্রতি বছর বাড়ছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বেড়েছে তিন গুণের বেশি। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, আগামী দুই বছরে ৬৮ শতাংশ জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে চায়। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা সামনের দিনগুলোতে আরো বাড়বে। তবে দেশটিতে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করতে হবে। সময় ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রে শান্তি অত্যন্ত জরুরি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন