ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি

প্রতীকী ছবি

ভারতে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। সেই সঙ্গে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি তুলেছেন আরএসএসের আওতাধীন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া।

মোহন ভাগবত ও প্রবীণ তোগাড়িয়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম সফর করছেন। সম্প্রতি রাজ্যটির রাজধানী গৌহাটির পার্শ্ববর্তী হাজংবাড়িতে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন ভগবত। তিনি বলেন, ‘ভারতে ছয় লাখের বেশি গ্রাম রয়েছে। এর অধিকাংশেই এখনো আরএসএসের শাখা নেই। ভারতের প্রতিটি গ্রামে সংঘের শাখা স্থাপন করা প্রয়োজন। প্রতিটি গ্রামে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের শাখা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে গোটা ভারতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’

ভারতীয় তরুণদের মধ্যে আরএসএসে যোগদানের বিষয়ে আগ্রহ কমতির দিকে রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রতিটি গ্রামে সংঘের শাখা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন মোহন ভগবত।

অন্যদিকে আসামের করিমগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবি তোলেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ইসলামিক রাষ্ট্র হতে পারলে ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হবে না কেন?’

ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার জন্য কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকারের ওপর আন্তরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদ ও রাষ্ট্রীয় বজরং দল চাপ সৃষ্টি করবে বলেও জানান তোগাড়িয়া। তবে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার আগে ভারতের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করা জরুরি বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন

‘ভারতে মুসলমানরা নিরাপদে রয়েছেন, কিন্তু হিন্দুরা নিরাপদে নেই’ বলেও মন্তব্য করেছেন প্রবীণ তোগাড়িয়া। তিনি বলেন, ‘আসামে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের আসাম থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে হবে।’

নাগরিকপঞ্জিতে নাম নেই, এমন অনেক হিন্দু আসামের বন্দিশিবিরে আটক রয়েছেন বলে উল্লেখ করে তোগাড়িয়া বলেন, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব দিতে হবে। তোগাড়িয়ার মন্তব্য, ‘বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ; পাকিস্তানের লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি এবং আফগানিস্তানের কাবুল ও কান্দাহার অখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদিন পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের গেরুয়া পতাকা উড়বে।’

হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের এ দুই বর্ষীয়ান নেতার এমন বক্তব্য নিয়ে বিজেপির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন