× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সিপিডির গবেষণা

জ্বালানির রূপান্তরের মাধ্যমে ৩৭ হাজার কর্মসংস্থান সম্ভব

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০০ পিএম

‘শক্তি রূপান্তর: কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা’ শীর্ষক ডায়ালগে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণার কথা তুলে ধরেন পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ছবি : সংগৃহীত

‘শক্তি রূপান্তর: কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা’ শীর্ষক ডায়ালগে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণার কথা তুলে ধরেন পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ছবি : সংগৃহীত

জ্বালানি খাতে বিশ্বে উল্লেখযোগ্য রূপান্তর ঘটছে। বাংলাদেশও এর বাইরে না। যদিও দেশে রূপান্তর ধীরগতিতে হচ্ছে। যদি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সরকার ও নীতি-নির্ধারকরা পদক্ষেপ নেয় তাহলে জ্বালানি রূপান্তরের মাধ্যমে ৩৭ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সম্ভব। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শক্তি রূপান্তর: কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা’ শীর্ষক ডায়ালগে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এমন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমাদের জ্বালানি খাত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। ৯৫ শতাংশ আসছে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। এ খাতের অবকাঠামো, কর্মসংস্থান, প্রতিষ্ঠানগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর। কিন্তু এই চিত্র উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে ভিন্ন। জ্বালানী খাতে কর্মসংস্থানের রূপান্তর ঘটছে বিভিন্ন দেশে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেক্টরে বিশ্বব্যাপী ১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে ২০২১ সালে। তার মানে জ্বালানি খাতে অনেক কাজের চাহিদা শেষ হয়ে যাবে, আবার নতুন কাজের ক্ষেত্র গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে গ্রিড ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এনালাইসিস, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স দক্ষতায় সমৃদ্ধ কর্মসংস্থান প্রয়োজন।

নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক পাওয়ার প্লান্টে দেশে ২০৩০ সাল নাগাদ ১৩ হাজার ৭৭৮ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক পাওয়ার প্লান্টে ১৬ হাজার ৬৬৩ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। শক্তি রূপান্তরের ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ ৮ হাজার ৯১৯ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে শক্তি রূপান্তর যদি উল্লেখ্যযোগ্যভাবে হয় তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে প্রায় ৪ গুন। অর্থাৎ ৩৭ হাজার ২২০ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

নতুন কর্মংস্থানের জন্য চাকরি প্রত্যাশীদের প্রস্তুত করতে প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন, ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। শক্তি রূপান্তর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কর্মসংস্থান এবং পলিসি প্রণয়নের তাগিদ দেন তিনি।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যে বিদ্যুৎখাতের রুপান্তরের কথা বলা হচ্ছে অর্থ্যাৎ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে সেখানে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। তার মধ্যে অন্যতম চালেঞ্জ হচ্ছে দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল। আবার আরেকটি বিষয় হচ্ছে আমরা এতোগুলো টাকা খরচ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করলাম সেগুলোর কী হবে। ইতিমধ্যে আবার নিউক্লিয়ার পাওয়ারপ্ল্যান্ট এসেছে। সেখানেও আমাদের বিনিয়োগ আছে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার এনডিসি, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা