ঢাকা, বাংলাদেশ

সোমবার, , ১৪ এপ্রিল ২০২৫

English

স্বাস্থ্য

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই দাবি

অবিলম্বে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

উইমেনআই প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অবিলম্বে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ছবি সংগৃহীত

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি কখনোই ভারতের জিআই পণ্য হতে পারে না। এটিকে নিজেদের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে ভারত অর্ধসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের আশ্রয় নিয়েছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচিত দ্রুত এ বিষয়ে ভারতের আদালতে মামলা করা। ভারতের নিজস্ব জিআই আইনে সেই মামলা করার সুযোগ আছে। আর তা করতে হবে তিন মাসের মধ্যে। ভারত যেসব যুক্তিতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই করেছে, সেগুলো তথ্যনির্ভর নয়। সেগুলো ধোপে টিকবে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাল্লাই ভারী। কিন্তু সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।

ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই আবেদনের নানা অসংগতি তুলে ধরেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সেখানে বলা হয়েছে, দেশভাগের সময় টাঙ্গাইল থেকে হিন্দুদের তন্তুবায় সম্প্রদায় দেশত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যায়। তারাই এই শাড়ি বানানোর সঙ্গে জড়িত। বাস্তবে টাঙ্গাইল অঞ্চলে দীর্ঘসময় ধরে শুধু হিন্দু নয় মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকে এই  শাড়ি বানায়। আর বাস্তবে হিন্দুদের চেয়ে এই শাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে মুসলিমরাই বেশি জড়িত।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরো বলেন, কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতির জন্য তার ভৌগোলিক উৎস, মান এবং সুরক্ষার বিষয় জড়িত। টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অনেকেই দেশ বিভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গ চলে গেছেন। কিন্তু এই শাড়ির ভৌগোলিক পরিচয় তো তাতে পাল্টে যেতে পারে না। ভারতে এই শাড়িকে জিআই করতে গিয়ে প্রতারণামূলক তথ্যের ওপর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বিখ্যাত 'টাঙ্গাইল শাড়ি'কে নিজস্ব জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। এর পর পরই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নড়েচড়ে বসে। দ্রুততার সঙ্গে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাড়ির জিআইয়ের আবেদন হয় গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি)। আর তা গ্রহণ করে সেদিনই অনুমোদন গেজেটের জন্য বিজি প্রেসে পাঠায় ডিপিডিটি।

এ প্রসঙ্গে ড. দেবপ্রিয় বলেন, ভারতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন হয়েছে ২০২০ সালে। এরপর চার বছর চলে গেছে। এসব তথ্য ওয়েবসাইটেই ছিল। কিন্তু এত দিন ধরে আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কী করল? শুধু সরকার নয়, ব্যবসায়িক গোষ্ঠীরাও কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। এটা আমাদের অজ্ঞতা ও ব্যর্থতা। কিন্তু এখন যেভাবে তাড়াহুড়া করে এর জিআই করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তা অমূলক। এত তাড়াহুড়ায় আমরা আবার ভুল করে বসতে পারি।

বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু সমনামী এবং অভিন্ন পণ্য আছে। এসব পণ্যের জিআই নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে বাংলাদেশকে এগোতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয়। তিনি এসব পণ্যের ন্যায্য সুরক্ষার জন্য বেশ কিছু আন্তর্জাতিক আইনের উল্লেখ করেন। 

অনুষ্ঠানে সিপিডির আরেক সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুধু প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে মেধাস্বত্বসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিসে হারজিত নির্ধারিত হয়। তাই আমাদের সাবধানে এবং দক্ষতার সঙ্গে এগোতে হবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট নাইমা জাহান।

ইউ

বিজিবির অভিযানে সীমান্ত থেকে ভারতীয় পণ্য আটক

দ্বন্দ্ব ভুলে, ভ্রান্তি কাটিয়ে শুভ বার্তা আনার প্রত্যয়

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১৪ টাকা

ওয়ালটনে নিয়োগ, ২২ বছরে আবেদনের সুযোগ 

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ

শেহাবউদ্দিন আহমেদ নাফা আর নেই

দেশের রিজার্ভ এখন ২৬.৩৮ বিলিয়ন ডলার

বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে বৈশাখী মেলা

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে ধূমপানমুক্ত করতে আদেশ জারি

কানাডার টরেন্টোতে "কাকতালীয় স্পর্শ’ র প্রকাশনা উৎসব

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন ড.ইউনুস

‘শেষের কবিতা’ নাটকের প্রদর্শনী হবে

প্রস্তুত রমনা বটমূল, গান-কবিতায় হবে বর্ষবরণ

‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের পর্যটন নির্ভর জনগোষ্ঠীর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার’

নয়া কৃষির প্রচলন নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার