Search

Showing posts with label কালের কন্ঠ. Show all posts
Showing posts with label কালের কন্ঠ. Show all posts

Saturday, January 14, 2012

কালের কন্ঠ, ছাগুবান্ধব প্রিন্ট মিডিয়া!

­আমরা সাধারণ পাঠক ৮০০ পয়সা কবুল করে যখন পত্রিকা খরিদ করি তখন লক্ষ রাখি পয়সা কেমন উসুল হলো। যখন বাড়তিটা পেয়ে যাই তখন আমাদের আনন্দ দেখে কে। বিনে পয়সায় পাবলিক আলকাতরা খায় আর আমরা বিনোদন খাব না, তা কী হয়!

আমাদের দেশের সমস্ত মিডিয়া ইলেকট্রনিক-প্রিন্ট-ওয়েব পোর্টাল সবই ব্যবসায়ীদের হাতে। ব্যবসায়ী বলে কথা- এরা নিজেদের স্বার্থে মিডিয়াকে ব্যবহার করবেন এটা জানার জন্য রকেটবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

Thursday, June 9, 2011

'মা মা' ডাক, নোবেল দিল হাঁক!

­বাদশাহ সোলেয়মান নাকি পশু-পাখির ভাষা বুঝতে পারতেন। ওঁর পরে অন্য আর কেউ পশু-পাখির ভাষা বুঝতে পেরেছেন এমনটা আমার জানা নাই।
তবে বাংগুরাদেশে বান্দরের ভাষা নিয়ে অনেকখানি গবেষণা হয়েছিল [১]। তখন অবশ্য অন্য কেউ খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি! ওসময় জাপানি সাংবাদিক বান্দরকে বলেছিলেন, 'মুশি-মুশি'। তখন বান্দর বলেছিল, 'খিচ-খিচ'। কিন্তু বাংগুরাদেশের জ্ঞানী বিমানমন্ত্রী ঠিকই দুধের দুধ, পানির পানি আলাদা করে ফেলেছিলেন! তিনি ঠিকই বান্দরের সঙ্গে বান্দরের ভাষায় বাতচিত করেছিলেন এবং জটিল রহস্য উদঘাটন করে ফেলেছিলেন! কে জানে, এই আনন্দে হয়তো তিনি তুম-তানা-নানা করে খানিকটা 'ঘান'-ও গেয়ে ফেলেছিলেন! 

সম্প্রতি আবারও পাখির ভাষা নিয়ে জোর গবেষণার ফল পেকে টসটস করার উপক্রম। কে জানে, এই কারণে এবারও বাংলাদেশে আরেকটা 'নোভেল(!)' খসে পড়ল বলে। এবার অন্তত এই পুরস্কারটা নিয়ে হইচই হবে না। এই বার ইউনূস সাহেবের মত লোকজনরা সুবিধা করতে পারবেন না। একজন রাজনীতিবিদের নোবেল অন্যকে দিয়ে দেয়া বা আম গবেষককে না-দিয়ে জাম গবেষককে দিয়ে দেয়া এমনটা এই বার ঘটবে না, এটা নিশ্চিত।
ছবি সূত্র: কালের কন্ঠ, ৭ জুন ২০১
এই ছবিটার মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি শালিকছানা দুটি 'মা মা' বলে ডাকছে। মম-মাম্মি না-বলে খাস বাংলায় 'মা মা' ডাক, ভাবা যায়! আহারে, ঝানু সাংবাদিকদের কত দিক যে খেয়াল রাখতে হয়! আমি নিজেও পাখি-ছানার ছবি উঠিয়েছিলুম। কিন্তু আমার পাখির ছানাগুলো ছিল বদের বদ। এরা কেবল ছিল খাওয়ার ধান্ধায়...[২] নীচের ছবিটার দিকে তাকালেই আপনারা অনায়াসেই বুঝে যাবেন এইগুলা কেমন পেটুক!
এই যে এদেরকে এত খাওয়ালুম লাভ কী! আমার সঙ্গে দেখি এরা বাংলায় বাতচিত করল না। কেন-কেন-কেন? এরা বাংলায় 'মা মা' ডাক না হোক অন্তত ভা-ভা ডাকও তো ডাকল না, আফসোস! অবশ্য ইংরাজি-রাশিয়ান-চায়নিজ অন্য কোন ভাষায় বলে থাকলে এটা আমি বুঝতে পারিনি। কারণ সলাজে বলি, বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষা আমি জানি না। এই নিয়ে আমাকে কম হেনস্তা করা হয়নি! এই দোষে দুষ্ট আমাকে এরা পারলে শূলে চড়ান [৩]

ডিয়ার '...কন্ঠ', ভাল-ভাল! শালিকছানা বাংলায় 'মা মা' ডাকে! এরা বাংলা পড়তে পারে কিনা জানি না! বাংলা পড়তে জানলে নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে এই 'ইয়েরকন্ঠ' পত্রিকার মাধ্যমে নিজেদের সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে গেছে।

পাশাপাশি শালিকছানারা কী এও জেনে গেছে এই পত্রিকার সম্পাদক আবেদ খান স্যার? বোধহয় [৪] নিয়ে আবেদ খানের স্যারের সংশয় পরে এস্টাইলে [৫] পরিণত হয়েছিল। আবেদ খান স্যার, শালিকছানাদের পরিচিতি সম্বন্ধে আপনার 'বোধহয় সংশয়' নেই তো আবার...।

সহায়ক সূত্র:
১. বান্দরের ভাষায় বাতচিত: http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_05.html
২. বদের বদ: http://chobiblog.blogspot.com/2011/04/blog-post_10.html
৩. শূলে চড়ানো...: http://www.ali-mahmed.com/2010/04/blog-post_9242.html
৪. 'বোধ হয়': http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_26.html
৫. এস্টাইল: http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_27.html 

Thursday, April 21, 2011

"সাম্বা-ধিক"

­কালের কন্ঠে (২০ এপ্রিল, ২০১১) ডয়চে ভেলের ববস প্রতিযোগিতা নিয়ে ছাপা হয়েছে 'বাঁধ ভেঙেছে বাংলা ব্লগে' [১]। লিখেছেন বিপ্লব রহমান
তিনি জানাচ্ছেন, "তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে যারা ওয়েকিবহাল, তাঁরা এরই মধ্যে জেনে গেছেন, জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের সেরা ব্লগ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ভাষার ব্লগসাইটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছয়টি বিভাগে বাংলাদেশের ছয়জন ব্লগার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন..."।

তিনি ক্লেশ স্বীকার করে এও জানাচ্ছেন, "...এরই পথ ধরে এ বছর বাংলা ব্লগ ছিনিয়ে এনেছে ডয়েচে ভেলের সেরা ব্লগ প্রতিযোগিতায় ছয়-ছয়টি পুরস্কার। প্রতিযোগিতায় সেরা ব্লগ বিভাগে জয়ী হয়েছেন সাবরিনা সুলতানা..."।

তিনি কষ্ট করে আরও জানাচ্ছেন, "...ডয়েচে ভেলের ব্লগ প্রতিযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে অভ্র সফটওয়্যারের প্রধান নির্মাতা মেহেদী হাসান খান এবং রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বিভাগে আবু সুফিয়ান জয়ী হয়েছেন।
আমরা এই ছয় বিজয়ী ব্লগার সাবরিনা, সমর, পিয়াল, আরিফ, মেহেদী ও সুফিয়ানকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। জয় হোক মুক্তচিন্তার, জয় হোক বাংলা ব্লগের
"!


বটে! তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে আমি ওয়েকিবহাল না-হয়েও 'সাম্বা-ধিক' সাহেবের সঙ্গে একমত হতে পারলুম না বলে বড়ই যাতনা বোধ 'কচ্ছি'। ছয়টি বিভাগে বাংলাদেশের ছয়জন ব্লগার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন, এই তথ্য মমতাজ মিয়ার তাবিজের মত স্বপ্নপ্রাপ্তি হলে আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু সাম্বাধিক সাহেবের স্বপ্ন দেখা শেষ হলে, ঘুম থেকে উঠলে দেখতে পাবেন পাঠকের ভোটে Best Blog-এ সাবরিনা প্রথম হননি, পরাজিত হয়েছেন [২]। এই বিভাগে জয়ী হয়েছে পার্সিয়ান ভাষার একটি ব্লগ।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে অভ্র সফটওয়্যারের প্রধান নির্মাতা মেহেদী হাসান খানও পরাজিত হয়েছেন। Best Use of Technology for Social Good বিভাগে তিনি পরাজিত হয়েছেন একটি রাশিয়ান ভাষার ব্লগের কাছে [৩]। তেমনি Reporters Without Borders Award বিভাগে আবু সুফিয়ানও পরাজিত হয়েছেন আরেকটি রাশিয়ান ব্লগের কাছে [৪]
ডয়চে ভেলের সেরা ব্লগ অনুসন্ধান প্রতিযোগিতায় দুভাবে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভোটে এবং বিচারকদের ভোটে। খানিকটা তকলীফ করে 'সাম্বা-ধিক' সাহেব এটা কোথাও উল্লেখ করেননি বিচারকদের ভোটে বাংলা ভাষার কোন ব্লগই নির্বাচিত হয়নি।

জয় হোক 'সংঘাতপত্রের', জয় হোক সাম্বাধিকের! 

*প্রয়োজন মনে করায় এই পোস্টের শিরোনাম, 'জয় হোক হলুদ সাংবাদিকতা' বদলে দিলাম।  

সহায়ক সূত্র:
১. বাঁধ ভেঙেছে বাংলা ব্লগ: http://tinyurl.com/3qw7q84
২. Best Blog: http://thebobs.dw-world.de/en/nominations/?cat=1 
. Best Use of Technology for Social Good: http://thebobs.dw-world.de/en/nominations/?cat=8 
৪. Reporters Without Borders Award: http://thebobs.dw-world.de/en/nominations/?cat=10

Tuesday, June 1, 2010

ডিজিটাল জাদু!

কালের কন্ঠ আমাদেরকে চমকের পর চমক দেখিয়েই যাচ্ছে। এদের কল্যাণে নাইব উদ্দিন আহমেদের অতি বিখ্যাত মুক্তিযুদ্ধের ছবি হয়ে যায় সংগৃহিত [১]। পাঠক ভুল ধরিয়ে দিলে সেই পাঠকের মন্তব্যও [২] উধাও হয়ে যায়। যাদু-যাদু!

আমরা যারপর নাই মুগ্ধ! কালের কন্ঠ এখন আমাদেরকে জানাচ্ছে, অন-লাইনে তাদের পাঠক সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ! ৩১ মে, ২০১০, এদের অন-লাইন পাঠক সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৬৫ হাজার।
একই কান্ড প্রথম আলোও করত। এই বিষয়টা প্রথম আলো দীর্ঘ সময় চালু রেখেছিল। এখন প্রথম আলো চর্বিতচর্বণ-জাবরকাটা বন্ধ করেছে। এখন আর প্রথম আলোর অন-লাইন যাদুটা আর দেখতে পাওয়া যায় না।


কালের কন্ঠের এই খবরটা অতি আনন্দের সংবাদ! কিন্তু এলেক্সা বলছে, কালের কন্ঠের ট্রাফিক র‌্যাঙ্ক প্রায় ২৫ হাজার। যে পত্রিকার অন-লাইন পাঠকসংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ এদের ট্রাফিক র‌্যাঙ্ক আনুমানিক ১০ হাজারের নীচে হওয়ার কথা, অন্তত। 
হতে পারে এটা বিদেশী চাল- এলেক্সা 'কানডামি'-পক্ষপাতিত্ব করছে, ঠিক হিসাবটা দিচ্ছে না। আমি এই বিদেশী চালের নিন্দা জানাই- এদের কালো হাত আরও কালো হোক, কালো হাত ভেঙ্গে দিতে হবে।

এই গ্রাফটা যদি লক্ষ করি, তাহলে আমরা দেখতে পাব নীচের রেখাটা কালের কন্ঠের এবং উপরের রেখাটা প্রথম আলোর। একা কালের কন্ঠেরই অন-লাইন পাঠকসংখ্যা তিন লক্ষ হলে প্রথম আলোরটা যোগ করে দিনে দিনে এদের অন-লাইন পাঠক সংখ্যা ১৬ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও আমি বিস্মিত হবো না। কারণ এ যে ডিজিটাল যাদু!

এই সব বিষয়ে অবশ্য আমার জ্ঞান বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়া আমলাদের চেয়েও অনেক কম। বুঝতে খানিকটা সমস্যা হয়। 
আচ্ছা, অন-লাইন পাঠকসংখ্যা বলতে এরা কি বলতে চাইছে? একজন পাঠক ছত্রিশবার ক্লিক করে এদের খবর পড়লে সে কি একজন পাঠক, নাকি ৩৬ জন পাঠক হিসাবে বিবেচিত হবে?
আরও জানার ছিল, কালের কন্ঠের সাইটটা আমি রিফ্রেস করার সঙ্গে সঙ্গে দেখেছি এদের পাঠক সংখ্যা ধাঁ ধাঁ করে বাড়ছে। একবার রিফ্রেশেই ১০০/১৫০ করে পাঠকসংখ্যা বাড়ছে! 
মানেটা দাড়াচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে অনেকজন করে এই সাইটটাতে পদধুলি দিচ্ছে (দুঃখিত, পদধুলি হবে না, হবে পদ-কাদা। কারণ এখন বর্ষাকাল, ধুলি বড়ো দুর্লভ!)। 
বাহ, চমৎকার তো- কপারফিল্ডের পর কালের কন্ঠের ভক্ত হলুম। এরা দানব বানাবার কারখানার [৩] পাশাপাশি কতো ধরনের যে কারখানা খুলে রেখেছে এর ইয়াত্তা নাই।

সহায়ক লিংক:
১. নাইব উদ্দিন আহমেদ, সংগৃহিত: http://www.ali-mahmed.com/2010/03/blog-post_6688.html
২. চোট্টামি: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_08.html

৩. দানব বানাবার কারখানা: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_28.html

Friday, May 28, 2010

দানব বানাবার এক কারখানা!

আমি পুর্বের পোস্টে হালকা চালে লিখেছিলাম, "মুসার কপাল ভালো, প্রতিযোগীদের মধ্যে কোন বাঙালী ছিলেন না নইলে কেউ হয়তো কারও স্লিপিং-ব্যাগে তেলাপোকা ছেড়ে দিত (হিমালয়ে যাইনি বলে আমি ঠিক জানি না, হিমালয়ে তেলাপোকা আছে কিনা? ডায়নোসর নাই, তেলাপোকা দিব্যি আছে, এই ভরসায় লিখছি), কেউ কারও স্নো-গগসের স্বচ্ছ কাঁচ ঝামা দিয়ে ঘসে দিত।
পরে ব্যর্থ হয়ে ফেরে এসে অন্যদের বিজয়ের গল্প মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখত।"[১] 

এটা যে সত্যি সত্যি ফলে যাবে অন্তত আমি কল্পনা করিনি! ভুলেই গিয়েছিলাম, হিমালয়ে বাঙালি দূর্লভ হলেই কী- বাঙালির মাঝে ফিরে আসতে তো হবে। 
দৈনিক 'কালের কন্ঠ' আজ "প্রযুক্তি এবং আবহাওয়ার কারণে এভারেস্ট জয়ের হিড়িক" এই শিরোনামে এএফপি, বিবিসি, এবিসি নিউজের সুত্রে বিশাল এক প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। সাহেবদের লেজ ধরে!

মূল বিষয় হচ্ছে, এভারেস্ট জয় করা এখন ডালভাত, যে কেউ ওখানে গিয়ে হাওয়া খেতে পারে। কালের কন্ঠ এর কিছু নমুনাও দিয়েছে, জেক নরটনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "...অন্য পাঁচটা ব্যস্ত এলাকার মতোই সেখানে এখন মানুষ গিজগিজ করে"।

কালের কন্ঠ আরও জানাচ্ছে, "...জয়ীদের তালিকায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরাও রয়েছে।" কালের কন্ঠের কাছ থেকে আমরা আরও জানতে পারছি, "...২০০৭ সালে জাপানি নাগরিক কাতসুকে ইয়ানাগিসাওয়া ৭১ বছর বয়সে চূড়ায় উঠে চমক লাগিয়ে দেন। 
মুসার এক দিন আগে তাঁর ব্যবহৃত পথ ধরেই সবচেয়ে কম বয়সে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়ে শিশু রোমেরো। 
...গত রবিবার রোমেরো মাত্র ১৩ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করার পর তার নিজ দেশের পত্রপত্রিকায়ও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি"। 
"একই দিনে সবচেয়ে কম বয়সী অর্জুন বাজপেয়িকে নিয়েও তেমন মাতামাতি হয়নি [২]।"

এই সব তথ্য সঠিক কিনা এই নিয়ে আমি ভুলেও প্রশ্ন তুলব না কারণ সাহেবদের দেয়া তথ্য বলে কথা। এই সব তথ্য জানাবার জন্য আমি কালের কন্ঠের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব না তাও না। 
আমার কথা অন্যখানে। এখন পর্যন্ত কয় জন বাঙালি এভারেস্টের চুড়ায় এই দেশের পতাকা নিয়ে যেতে পেরেছে? মুসা ব্যতীত অন্য কেউ আছে কী? নাকি আবেদ খানের এস্টাইলে [৩] বলব, বোধ হয় [৪] আরও কেউ আছে! 

রোমেরো মাত্র ১৩ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করার পর তার নিজ দেশের পত্রপত্রিকায়ও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। 

রোমেরোকে নিয়ে তার দেশের পত্রপত্রিকায় মাতামাতি হয়নি, এটাও কি সাহেবদের কাছ থেকে ধার করা কথা নাকি সেন্ট্রাল এসি কক্ষে বসে বসে আবিষ্কার করেছেন? ইয়ে, তার নিজের দেশ বাদ দিয়ে অন্য দেশে মাতামাতি হলে কি চলবে আমাদের বিবেক ভাইয়া? [৬]
প্রকারান্তেরে কি বলা হলো, আমাদের পত্রিকায় মুসাকে নিয়ে মাতামাতি দৃষ্টি কটু? ঘটনা কী এটাই, প্রথম আলো তার নামটা বেশী ফাটিয়ে ফেলছে বলে? কালের কন্ঠের ব্যানার নিয়ে মুসা পোজ দিলে কালের কন্ঠের প্রথম পাতার সবটাই এই খবরে ভরে যেত, না?
আপনারা নিজেরা নিজেরা কার অন্তর্বাসের রং কি এটা দেখতে থাকুন না কেন, আমাদের কেন এতে জড়ানো?

মিডিয়া কী না পারে! কাউকে মাথায় তুলতে পারে, আবার আছড়ে ফেলতেও সময় লাগে না। আজকের প্রথম আলোয় আনিসুল হক লিখেছেন:
"প্রথম আলো ফুটছে। সূর্যের প্রথম রশ্মি এসে পড়ল এভারেস্টের চুড়ায়। ঠিক তখনই আমি এভারেস্টের মাথায়। আমার কী যে ভাল লাগল। এই আলো। এই আমার স্বপ্নপূরন। ২৩ মের প্রথম আলোকরশ্মি এভারেস্টের চুড়ায় আমাকে স্বাগত জানাল।"
আনিসুল হক পারলে এটাও লিখে দিতেন, এভারেস্টের চুড়ায় দেখলাম, এক ইয়েতি নিবিষ্টচিত্তে প্রথম আলো পত্রিকা পড়ছে এবং তার বিশেষ মনোযোগ আনিসুল হকের কলাম পড়ায়।

না পাঠক, এটা আনিসুল হক এভারেস্টে উঠে বলছেন না। বলছেন মুসা, আনিসুল হকের সঙ্গে ফোনে সাক্ষাৎকারে। শব্দের যাদুতে মুসা যে লেখক আনিসুল হককে ছাড়িয়ে গেছেন এতে কোন সন্দেহ নাই।
মুশকিল হচ্ছে, এমন অনেক না-বলা কথা আসমান থেকে চলে আসে মিডিয়ার কল্যাণে। নমুনা [৫]। 
মিডিয়াই ঠিক করে দেয় আমরা কি বলব, এরা আমাদের ভাবনা তাদের মত করে ভাবতে আমাদেরকে বাধ্য করেন। আমরা নির্বোধ পাঠক মিডিয়ার সেই ভাবনাগুলোই পেট ভাসিয়ে পড়ি। বেদবাক্যের মত বিশ্বাস করি।

আমাদের ভার্চুয়াল জগতে যখন একজন অন্যজনকে ঈর্ষায় খাটো করে, কুৎসিত ভাষায় খিস্তিখেউড় করে তখন আমরা অনিচ্ছায় মেনে নেই, কী-বোর্ডের অন্য পাশের মানুষটা হয়তো অসুস্থ। আমি অবশ্য এই সব অসুস্থ মানুষদের জন্য করুণা করি, আহা, মানুষটা যে অসুস্থ। 
এরা কেন অসুস্থ এটা মনোবিদরা ভালো বলতে পারবেন। পিঠে চাবুকের অসংখ্য দাগ নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এই সব কাপুরুষ মানুষগুলো নিজেদের দগদগে ঘা নিয়ে, গা ঘিনঘিনে কুকুরের মত অস্থির হয়ে উঠে। যন্ত্রণার না-বলা কথাগুলো অন্য ভাবে বের হয়ে আসে। সামনাসামনি বলার সাহস নেই বলে আড়ালে বলে, বাপান্ত করে হয়তো তার পৈশাচিক আনন্দ হয়। এদের চিকিৎসার প্রয়োজন।

কিন্তু মিডিয়া নামের ভয়াবহ শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলো যখন এই কাজটাই করে, তাদের এই সব ভাবনা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তখন আমি কেবল করুণাই করি না, বেদনার সঙ্গে বলি, এরা চিকিৎসার বাইরে। 
কারণ এই সব মিডিয়া হচ্ছে, বিবেক নামের এরা হচ্ছে, চুতিয়া বানাবার কারখানা। এরা অসংখ্য দানব বানাবার চেষ্টা করে।

আমি ধরে নিচ্ছি, কালের কন্ঠ যা লিখেছে সব সত্য। কিন্তু এটা এখন কেন? এখন আমাদের আনন্দ করার সময়, উল্লাসের সময়, ঠিক এখনই কেন? এটা ক-দিন পর লিখলে বসুন্ধরা সিটি নামের ভবনটা কি ধসে পড়ত?
ব্যাপারটা আমার কাছে মনে হচ্ছে এমন, কোন একজনের দাওয়াতে গিয়ে, গৃহকর্তার সাধ্যাতীত আয়োজনের পরও কোন অপদার্থ গল্প জুড়ে দেয়, মশায় বুঝলেন, এ আর কী আয়োজন; পরশু গিয়েছিলুম এক দাওয়াতে। সে এক এলাহী কান্ড, আস্ত তিমি মাছের রোস্ট এসে হাজির। দেখুন দিকি কী কান্ড!
এই সব অসভ্য-অভদ্র-হৃদয়হীন মানুষদের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারা যায়। আফসোস, মিডিয়া তো আর মানুষ না!

কালের কন্ঠের যেসব অর্বাচীনদের মাথা থেকে এটা ছাপাবার আইডিয়া বের হয়েছে, এসি রুমে বসে এই সব লেখা বড়ো সহজ মনে হয়, না? আপনাদের এভারেস্টে যেতে হবে না, সীতাকুন্ড পাহাড়ে চড়ে দেখান। আমরাও একটু দেখি। 
বাংলাদেশের ক্রিকেট টিম যখন কমান্ডো ট্রেনিং নিচ্ছিল তখন সেখানে আমাদের দেশের বিভিন্ন পত্রিকার ৩৭ জন সাংবাদিক ছিলেন। ইনস্ট্রাক্টর সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, "চাইলে আপনারাও ট্রেনিং-এ অংশগ্রহন করতে পারেন, ক্রিকেটাররাও সঙ্গ পাবেন"। 
কী একেকজন বাহাদুর, একজনও রাজী হননি! ওহে, সাম্বাদিক (!) বীরবর, ক্রিকেট টিমদের সঙ্গ দিতে না পেরে লজ্জা করেনি তখন?

মুসাকে খাটো করতে কত উদাহরণই না এখানে দেয়া হয়েছে। "কাতসুকে ইয়ানাগিসাওয়া ৭১ বছর বয়সে চূড়ায় উঠে চমক লাগিয়ে দেন।" 
হ্যাঁ, চমক লাগিয়ে দেন তো। আবেদ খান, শাহআলম সাহেবের বয়স নিশ্চয়ই ৭১ হয়নি। এরাও একটু চেষ্টা করে দেখেন না কেন? এভারেস্ট না, বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ভবনটায় লিফট ব্যতীত সিড়ি বেয়ে উঠে দেখিয়ে দিলেই হবে। আমরা অপেক্ষায় আছি।

সহায়ক লিংক: 
১. প্রথম বাঙালি সাক্ষাৎকার গ্রহনকারী: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_27.html 
২. কালের কন্ঠের প্রতিবেদন: http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=single&pub_no=176&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=2 
৩. আবেদ খানের এস্টাইল: http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_27.html 
৪. আবেদ খানের বোধ হয়: http://www.ali-mahmed.com/2010/01/blog-post_26.html 
৫. একটি আদর্শ সাক্ষাৎকার: http://www.ali-mahmed.com/2010/05/blog-post_05.html 
৬. রোমেরো, ডয়চে ভেলে: http://www.dw-world.de/dw/article/0,,5600046,00.html    

Saturday, May 8, 2010

কালের কন্ঠ, এই সব চালবাজী করে লাভ কী!


দৈনিক 'কালের কন্ঠ' মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধের অসম্ভব আলোচিত একটি ছবি ছাপে। এদের কল্যাণে আমরা পাঠকরা জানলাম, ছবিটি সংগৃহিত!

এই অসম্ভব বিখ্যাত ছবিটি নাইব উদ্দিন আহমেদের তোলা। ইনি সেই মানুষ যিনি মুক্তিযুদ্ধে অন্য এক রকম অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন। শত-শত স্টেনগানের চেয়েও যে অস্ত্র হাজার গুণ ভয়ংকর।  তাঁর হাতে ঝলসে উঠেছিল ক্যামেরা নামের ভয়ংকর সেই অস্ত্রটি।

এমন একজন মানুষের এই ছবি [১] ছাপিয়ে যদি লেখা হয় সংগৃহিত, এটা একটা ভয়াবহ অপরাধের পর্যায়ে পড়ে! মেনে নিলাম এটা একটা ভুল ছিল। এটা ভুল হলেও অমার্জনীয় একটা ভুল। কারণ একটি পত্রিকায় শত-শত মানুষ কাজ করেন, কারও চোখে এ ভুল ধরা পড়ল না কেন? আমরা ব্লগার (এদের লেখক বলতে প্রিন্ট মিডিয়ায় ঘোর আপত্তি আছে) নামের লেখকরা যখন লিখি, আমাদের ভুল দেখে দেবার মত কেউ থাকে না। কিন্তু একটি পত্রিকায় একটা লেখা অনেক হাত ঘুরে ছাপা হয়।

বেশ, এটা ভুল ছিল। এই ভুল ধরিয়ে দিয়ে আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম [২]। ব্লগার নামের এলেবেলেদের পোস্ট পড়ার সময় স্যারদের কই! আমি এই দুরাশাও করি না, আমার পোস্ট পড়ে এরা সংশোধন করবেন অথবা আমার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন এই ছবিটা নাইব উদ্দিন আহমেদের না।

কিন্তু একজন পাঠক এদের সাইটে গিয়ে মন্তব্যাকারে তাঁর আপত্তি জানিয়েছিলেন। ওই সহৃদয় পাঠক আমার লেখার রেফারেন্সও দিয়েছিলেন। এবং ওই মন্তব্যে তিনি কালের কন্ঠের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, নাইব উদ্দিন আহমেদের ঋণ স্বীকার করার জন্য।

এটা আমার জানা হতো না কিন্তু গুগলের কল্যাণে জানা হলো। আমি এই মন্তব্যের লিংক ধরে এদের সাইটে ওই প্রতিবেদনে গিয়ে দেখলাম, ওখানে ওই পাঠকের কোন মন্তব্যই নাই।

অবশ্যই এটা কালের কন্ঠ ছাপিয়েছিল, পাঠকের মতামত আকারে এটা ছাপা হয়েছিল। এই প্রতিবেদনের সঙ্গেই এই মন্তব্যটা থাকা উচিৎ ছিল। নইলে একজন বুঝবেন কেমন করে কোন প্রতিবেদনে কেমন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে! তাহলে মন্তব্যটা গেল কোথায়?
আমি জানি না, কোন এক বিচিত্র কারণে কি মন্তব্যটা ডিলিট করা হয়েছে? হলে, কেন? এই মন্তব্য এই পত্রিকার কোন ধারায় কোন আইনটা ভেঙ্গেছে? এটা জানার বড়ো ইচ্ছা।

আরেকটা বিষয় দেখে কালের কন্ঠের চালবাজী অনেকখানি আঁচ করা গেল, সেটা হচ্ছে, এখন এই প্রতিবেদনের সঙ্গে এই ছবিটি আছে ঠিকই কিন্তু এখানে সংগৃহিত কথাটা নেই।

এমন একটা অমার্জনীয় ভুল করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। কোন পাঠক ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার পরও সেই ভুল স্বীকার না ফাজলামীর পর্যায়ে পড়ে। আর সেই পাঠকের মন্তব্য মুছে ফেলা হয়ে থাকলে সেটা নির্ঘাত শিশুসুলভ আচরণ। 
এমন একজন মানুষকে, তাঁর মৃত্যুর পর আরেক মিডিয়া-ঈশ্বর প্রথম আলো বানিয়ে দিয়েছিল, আলোকচিত্রি...[৩]! এই সব শিশুরা আমাদের ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করে বলে, আকাশের দিকে তাকিয়ে এটা বলা ব্যতীত আমাদের উপায় কী, এই সব শিশুরা কবে বড়ো হবে?

সহায়ক লিংক:  
১. ফটোগান: http://www.ali-mahmed.com/2007/06/blog-post_2292.html 

২. কালের কন্ঠের তথাকথিত সংগৃহিত: http://www.ali-mahmed.com/2010/03/blog-post_6688.html

৩. প্রথম আলো, আলোকচিত্রি নাইব উদ্দিন আহমেদ: http://www.ali-mahmed.com/2009/12/blog-post_3458.html 

Monday, April 19, 2010

কালের কন্ঠ: আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করি

দৈনিক কালের কন্ঠ'-কে নিয়ে একটা লেখায় আমি লিখেছিলাম, "...এই খবরটায় লতিফুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে..."।
এখানে আমার অজান্তেই ক্ষমার অযোগ্য একটা ভুল হয়ে গেছে। যে নাম্বারটা ছাপানো হয়েছিল সেটা থেকে আসলে ফোন করা হয়েছিল, রিসিভ না। বাক্যের ব্যাখ্যার অর্থ বুঝতে আমার সমস্যা হয়েছিল। এর দায় পুরোটাই আমার উপরই বর্তায়।

'গ্লোবাল ভয়েসেস'- এ যে সাক্ষাৎকার দিয়েছি, তাঁদের সীমাবদ্ধতার কারণে সর্বত্র এটা খানিকটা কাটছাঁট করে ছাপা হয়েছে। কিন্তু পূর্ণ সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গটার উল্লেখ আছে।  

আমার এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য কালের কন্ঠের পুরো টিমের কাছে দুঃখ প্রকাশ করি। এবং যেসব সহৃদয় পাঠক সাক্ষাৎকারের এই অংশটুকু পড়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন তাঁদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা।
পোস্ট দেয়ার সময় তথ্য-উপাত্ত সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হয় কিন্তু তারপরও ভুল হয়ে গেছে! বুড়া শেয়াল যখন ফাঁদে পড়ে তখন মৃত্যু চিন্তা থেকে লজ্জায় অস্থির থাকে। আমার তেমনি মনে হচ্ছে।  
একজন আমার এই ভুলটা ধরিয়ে দিতে সহায়ক হয়েছেন। মানুষটার প্রতি কৃতজ্ঞতা। 

কালের কন্ঠের মালিক এবং সম্পাদক, নীতিগত কারনে এঁরা আমার অপছন্দের মানুষ। কিন্তু এই পত্রিকায় এখন এক ঝাঁক দুর্ধর্ষ মানুষ জড়ো হয়েছেন। এঁদের কাছে আমি কি ছোট্ট একটা আবেদন রাখতে পারি? আমাদের দেশে পত্রিকাওয়ালাদের ভুল স্বীকার করার চল নাই। আপনারা কি প্রথম পাতায় এক কলাম এক ইঞ্চির একটা বক্স রাখবেন? যেখানে প্রতিদিন যে কোন ধরনের ভুল, অসঙ্গতি স্বীকার করা হবে।
কোন কোন পত্রিকায় কখনো কখনো ভেতরের পাতায় ছোট্ট করে ভুল স্বীকার করা হয়, এটা করা না করা প্রায় সমান। যেমন অর্থহীন অন্ধকারে কোন রূপবতীর হাসি!    

Saturday, April 10, 2010

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: নিজের চামড়া নিজের, না?

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দৈনিক কালের কন্ঠের (০৯.০৪.১০) শিলালিপিতে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
”...আমি একটা জিনিসই ভয় পাই, সেটা হচ্ছে ধর্মীয় সমালোচনা। আমার মনের মধ্যে ধর্ম সম্পর্কে অনেক বক্তব্য আছে। কিন্তু সব সময় এটা লিখে প্রকাশ করি না। তার কারণ হচ্ছে, আমি একটা জিনিসকে খুব ঘৃণা করি- দাঙ্গা। আমার লেখার কারণে যদি কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হয়, তবে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি চাই না আমার লেখার কারণে একটাও নিরীহ প্রাণ নষ্ট হোক...”।
 

অতি মানবিক কথা- একজন বড় মাপের লেখকের যথার্থ ভাবনা। আমি নতজানু হই। কবির কাছে নীলপদ্মের অভাব নাই তবুও কবি আমি আপনাকে দিলাম আমাদের দেশি সমস্ত পদ্ম।
কিন্তু একটা কিন্তু...সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, দাদা, আপনি হয়তো এখন বয়সের কারণে বিস্মৃত হয়েছেন,
আমরা কিন্তু ভুলিনি। আপনারা তসলিমা নাসরিনের ’লজ্জা’ বইটা নিয়ে বেদম নাচানাচি করেছিলেন, ভুলে গেছেন? দাদা, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, তসলিমা নাসরিনের ’লজ্জা’ বইটা কি পাতে দেয়ার মত? 
তাহলে? আপনারা এই বইটা নিয়ে যে উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন এমন সৌভাগ্য কি খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কপালেও জুটেছিল? ’লজ্জা’ বইটা নিয়ে আপনারা কারা কারা প্রশংসার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন এটা না বলে কারা কারা এই দলে ছিলেন না এটা বললে সহজ হয়!
 

এই কাজটা আপনারা করেছেন জেনেশুনে। আনন্দবাজার গং, এই অতি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানটি অর্থের জন্য যা করেছে তা মাংস কেটে নেয়ে ইহুদি বেনিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছে। যতটুকু জানি আনন্দবাজার গং, এদের সঙ্গে আপনি জড়াজড়ি করে আছেন, আপনার বড়ো গলায় গলায় ভাব।
আপনি বলবেন আমিই তো এখানকার একমাত্র অথরটি না। বেশ, কিন্তু আপনি কি প্রতিবাদ করেছিলেন, দাদা? আটকাবার প্রচেষ্টা কি ছিল আপনার? প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ দায় কি আপনি এড়াতে পারেন?  না, পারেন না।

আপনাকে কি আমি সবিনয়ে গোল্ডা মায়ারের সেই বিখ্যাত কথাটা মনে করিয়ে দেব, "কাউকে নিজ হাতে হত্যা করা এবং হত্যা করার জন্য মদদ-সিদ্ধান্ত দেয়ার মধ্যে কোন তফাত নাই"।

বাবরী মসজিদ ইস্যুতে যখন দুই দেশ উত্তাল ঠিক এমন একটা সময়ে আপনারা দাদারা ভারতে তসলিমা নাসরিন ’লজ্জা’ বইটা প্রকাশ করলেন। একজন লেখকের হাতের কলম শত-শত মারণাস্ত্রেও চেয়ে শক্তিশালী এর নমুনা আমরা দেখলাম তসলিমার কল্যাণে! তসলিমার হাতের সাধারণ অস্ত্রটা ভয়াবহ এক অস্ত্রে পরিণত হল আপনাদের, আনন্দবাজার গংদের বদৌলতে। 

আনন্দবাজার তসলিমাকে ঘটা করে পুরষ্কার দিল। আনন্দবাজার গং তসলিমার 'লজ্জা' বইটা ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করল। এর পেছনে আনন্দবাজার গং এমন মেধা খরচ করল যে সেই বইটার লক্ষ-লক্ষ কপি বিক্রি হলো। চারদিকে আগুন লেগেই ছিল বইটা প্রকাশ করে কেবল আগুনটা উসকে দেয়ার অপেক্ষায় ছিল। 
"কংগ্রেসের গৌহাটি সম্মেলনের প্রতিবেদনে তসলিমা নাসরিনের 'লজ্জা' বইটার বিবরণ পাতার পর পাতা জুড়ে দেয়া হলো। যা অভূতপূর্ব! বিজেপি দিল্লির লালালাজ শহরে তসলিমার ছবি বিলবোর্ড আকারে ঝুলিয়ে দিল"। (আহমদ ছফা) 
ঝাসির বদলে বাঙ্গাল কী রানি!।

আপনারা এই সব কেন করলেন? আমাদের দেশে গুরুতর অন্যায় হয়েছে এটার জন্যই তো? হ্যাঁ, আমরা গভীর বেদনার সঙ্গে বলি, বিনম্র লজ্জায় বলি, আমাদের দেশে তখন গুরুতর না, ভয়াবহসব অন্যায় হয়েছিল। অন্য দেশের একটা ভয়ংকর অন্যায়ের কারণে কেন বাংলাদেশের মন্দিরের একটা ইটও খুলে ফেলা হবে এ প্রশ্ন আমাদেরও। 

একটা উদাহরণই যথেষ্ঠ, তখন কক্সবাজারে আগুনে পুড়িয়ে ছয়টি শিশুকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছিল শিশুগুলো হিন্দু ছিল এ অপরাধে। তৎকালীন সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল এই অন্যায়গুলো রোধ করতে। প্রকৃতি যেমন শোধ নেয় তেমনি জনগণও হয়তো এর শোধ নিয়েছে। আমি অভিশাপ দেই, এই অন্যায় নরক অবধি তাড়া করুক এদের।

কিন্তু দাদা, আমি আমাদের অপরাধ লাঘব করতে চাচ্ছি না, কেবল আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, আপনাদের দেশে কি মুসলমানদেরকেও কচুকাটা করা হয়নি? আপনারা না বলে আমাদের চেয়ে বহু বছর এগিয়ে আছেন সমঅধিকার, সহনশীলতা, গণতন্ত্র এই সব বিষয়ে।  তাহলে? আপনারা কী করলেন!

আচ্ছা, আপনারা যে ঈদের জামাতে শুয়োরের পাল ছেড়ে দিয়েছিলেন কাজটা কি ঠিক হয়েছিল, দাদা? আপনাকে নিশ্চয়ই মনে করিয়ে দিতে হবে না শুয়োর জিনিসটা যেখানে মুসলমানরা দু-চোক্ষে দেখতে পারে না সেখানে তাদের প্রার্থনা করার সময় আপনারা শুয়োরের পাল ছেড়ে দেবেন, এই কাজটা কেমন হলো, দাদা! 

তসলিমা নাসরিনের ’লজ্জা’ নামের আবর্জনা কতটা সাহিত্যের কাতারে পড়ে সেটা এখন আমার আলোচ্য বিষয় না, তিনি একজন লেখক হয়েও ওই সময়টাতে 'লজ্জা' বইটা প্রকাশ করে দাঙ্গা-হাঙ্গামার বারুদে আগুন ধরাতে সহায়তা করেছিলেন এতে অন্তত আমার কোনো সন্দেহ নাই। 
তিনি অবলীলায় যে কাজটা করেছিলেন, বাবরী মসজিদ ইস্যুতে ভারতীয় পাজি হিন্দুদের (যারা বাবরী মসজিদ নিয়ে মারমার-কাটকাট করছিলেন) সীমাহীন অপরাধ ঢাকার জন্য 'লজ্জা' নামের ভয়ংকর একটা হাতিয়ার তাদের তুলে দিয়েছিলেন। 
এতে করে দাবার চাল পাল্টে গিয়েছিল। বিশ্ব যেখানে ভারতীয় পাজি হিন্দুদের ছি ছি করতো সেখানে সোনার মেয়ে তসলিমার কারণে বাংলাদেশকে নিয়ে ছি ছি করা শুরু করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। মূল আলোটা সরে গিয়েছিল।

কই দাদা, তখন দেখি আপনি মুখে কুলুপ এঁটে বসে ছিলেন, রা কাড়েননি! কী দাদা, নিজের চামড়া নিজের, অন্যের চামড়া অন্যের, না? আপনার ভাবখানা এমন চামড়া দিয়ে ঢোল বানাতে হলে আমিই কেন, কি বলেন? 

এটা আমি বিশ্বাস করি, আপনি একজন নিপাট ভদ্রলোক তাই দাদা, বিচারের ভারটা আপনার হাতেই ছেড়ে দিলুম।

*www.newsagency24.com চোরের এক আস্তানার নাম: https://www.facebook.com/ali.mahmed1971/posts/10151517933607335?notif_t=like           

Thursday, April 8, 2010

কালের কন্ঠ: এর মানে কী!

কিছু বিষয আছে যা বোঝার জন্য রকেটবিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নাই। বোঝার জন্য আমাদের মত অল্প জ্ঞানঅলা মানুষেরও বেগ পেতে হয় না।

আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। অতি শিঘ্রি প্রথম আলো এবং কালের কন্ঠ কেমন করে একে অন্যের গায়ে পুরীষ ঢেলে দেয়। এবং লতিফুর রহমান, আহমেদ সোবহান এঁরা কেমন করে একজন অন্যজনের অন্তর্বাস ধরে টানাটানি করেন তাও দেখার অপেক্ষায়। অপেক্ষার সমাপ্তি, খেলা শুরু হয়ে গেছে। 
আমরা ভাতঘুম দেয়ার পূর্বে ভুঁড়ি ভাসিয়ে পত্রিকা পড়ার মাধ্যমে দেখব কার অর্ন্তবাসের কি রং! কত বিচিত্র সাইজের, ততেধিক বিচিত্র রঙের অন্তর্বাস।

যাগ গে, আমার লতিফুর রহমান, আহমেদ সোবহান কারও প্রতি আলাদা আগ্রহ নাই। কে কতদিন অন্তর্বাস ধৌত করেন না, কারটা দিলে ওয়াশিং মেশিন অটো অফ হয়ে যায় এটাও আমার আগ্রহের বিষয় না।

আজ কালের কন্ঠে (০৮.০৪.১০) প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে 'ঋণখেলাপি হয়েও শতকোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন লতিফুর'।  
লতিফুর রহমানের ঋণ নিয়েছেন কি না এটাও আমার আগ্রহের বিষয় না।  আচ্ছা, সব পত্রিকাওয়ালারা এমন করে লেখে কেন, লতিফুর, খালেদা? বিচ্ছিরি লাগে। সম্ভবত চুতিয়া মিডিয়া এটা বৈদেশ থেকে আমদানী করেছে। আমাদের তো আবার বৈদেশী ভাব ধারণ না করলে চলে না।

যেটা আমি বলতে চাচ্ছিলাম, এই খবরটায় লতিফুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মানে কি? তাঁর মোবাইলে যোগাযোগ করা হয় এটা লিখলে কি চলছিল না, একেবারে বুদ্ধি করে নাম্বার ভাগ করে ছাপানোর মানে কী? নাকি এটা না করলে মাথা কাটা যায়? একজনের সেল নাম্বার অনুমতি ব্যতীত এভাবে জনসমক্ষে ছাপাবার কুফল চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়, রাত আড়াইটায় একজন ফোন করে বলবে, কিরে, লইত্যা, ঘুমাস নিহি?

এ অন্যায়! এ সন্ত্রাস!!

Saturday, April 3, 2010

হুমায়ূন আহমেদ, আপনি ক্ষমতার অপব্যবহার করলেন

হুমায়ুন আহমেদ ইমদাদুল হক মিলনের একটা লেখার সূত্র ধরে লিখেছিলেন: হুমায়ূন আহমেদ ২৬ মার্চ, ২০১০-এ 'ফাউনটেনপেন'-এ লিখেছিলেন, "নিজের প্রশংসা নিজে করার সবচেয়ে খারাপ উদাহরণ ইমদাদুল হক মিলন। গত বইমেলা বিষয়ে তার একটা লেখা কালের কন্ঠের সাহিত্য পাতায় ছাপা হয়েছে। সে লিখেছে...তখন আমার একটা বই বাংলা একাডেমী বেস্ট সেলার ঘোষণা করেছে। প্রকাশক চাহিদামতো বই জোগান দিতে পারছে না। বইটির জন্য বইমেলার অনেক জায়গায় কাটাকাটি মারামারি হচ্ছে...।"

এই নিয়ে আমি নিজেও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম: ইমদাদুল হক মিলন, একজন ঢোলবাজ
মিলনের ওই লেখাটা আমার কাছেও বিচ্ছিরি লেগেছিল। হুমায়ূন আহমেদ ফাইনটেনেপেনে এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লেখার পর আমার লেখাটা ছিল: "হুমায়ূন আহমেদ সাদাকে সাদা বলেলেন, তবে..."।

এইবার (০২.০৪.১০) হুমায়ূন আহমেদ কালের কন্ঠের ফাউনটেনপেন-এ লিখেছেন, ফাইনটেনপেন লেখাটা তিনি ধারাবাহিকভাবে লিখছেন। গত লেখায় নাকি কিছু অংশ ছাপতে কালের কন্ঠের স্মৃতি বিস্মরণ ঘটেছিল।
তাই এই বিষয়ে কালের কন্ঠ এবারের ফাউনটেনপেনে দুঃখ প্রকাশ করেছে: "গত পর্বের ফাউনটেনপেনে অসাবধানতাবশত তিনটি লাইন বাদ পড়েছিল। কালের কন্ঠের সাহিত্য পাতা মিলন দেখে। আমার ফাউনটেনপেন তার হাত দিয়েই যাবে। আজকের লেখাটা পড়ে তার মুখের ভাব কী রকম হবে কল্পনা করেই মজা পাচ্ছি। হা হা হা।"

মোদ্দা কথা, কালের কন্ঠ জানাচ্ছে,
গতবার অসাবধানতাবশত হুমায়ূন আহমেদের লেখার তিনটি লাইন বাদ পড়েছিল। এটা এইবার উল্লেখ করে পাঠককে জানানো হলো।
কবে থেকে কালের কন্ঠ লেখকদের প্রতি এতোটা দায়িত্বশীল হলো? কবে থেকে?
'কালের কন্ঠ' ছাপার সময় রাসেল পারভেজের অনুমতি ব্যতীত এই লেখাটা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিল! এতোটাই পরিবর্তন যে রাসেল পারভেজ ঠান্ডা শ্বাস ফেলে ভাবছিলেন, এই লেখাটা কী আমার?

আসলে কাহিনী এটা না। পাঠক-লেখকের প্রতি দায়িত্ব-ফায়িত্ব কিছু না, এখানে মূল বিষয় হচ্ছেন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদ ক্ষমতার ছড়ি উঠিয়েছেন, ব্যস সব ঠান্ডা- অজান্তেই এদের খানিকটা পেশাব বেরিয়ে গেছে!

অবশ্য হুমায়ূন আহমেদের জানা নাই ইমদাদুল হক মিলন কালের কন্ঠের '
শিলালিপি' পাতার দায়িত্বে না, তবে এটা সত্য মিলন কালের কন্ঠের যুগ্ন সম্পাদক।
কিন্তু হুমায়ূন জানেন এই লেখাটা মিলনের হাত দিয়ে যাবে এবং এও জানেন মিলনের ক্ষমতা নাই লেখাটা আটকে দেয়ার। তিনি একজন মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে একটা মজার খেলা খেলেছেন, অসম একটা খেলা! কাজটা হুমায়ূন আহমেদের ইচ্ছাকৃত। আমার কাছে মনে হচ্ছে এমন, ঠান্ডা মাথায় একজন মানুষকে খুব কাছ থেকে ছুঁরি মারা- মানুষটা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখতে পারবে; তার কিছুই করার থাকবে না। হুমায়ূন আহমেদ একজন ভানবাজ মানুষ, তিনি তাঁর প্রবল ক্ষমতা সম্বন্ধে পুরোপুরি অবগত-সচেতন কিন্তু সর্বদা এমন ভান করেন এটা তিনি জানেন না।

এটা জানার জন্য রকেটবিজ্ঞানী প্রয়োজন নেই, আবেদ খানও হতে হয় না, যদি বলা হয় চুজ হুমায়ূন অর মিলন, বেছে নাও। চোখ বন্ধ করে কালের কন্ঠ হুমায়ূন আহমেদকে বেছে নেবে। এক সেকেন্ডও লাগবে না মিলনকে চাকরি থেকে বের করে দিতে।

আমি খানিকটা আঁচ করতে পারি মিলনের কষ্টটা। অনেকটা এমন, নিজের গলায় ছুরি চালাবার জন্য নিজেই শান দিচ্ছেন, ছুঁরিটা একজন চালাচ্ছে এটা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখা। গরুর গোশত খাওয়া আর চোখের সামনে জবাইপর্ব দেখে খাওয়া দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। এবং এই পর্যায়ে একজন মানুষকে নিয়ে যেতে প্রভূত ক্ষমতাবান হুমায়ূন বাধ্য করেছেন। তাঁর বিপুল ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

Friday, March 26, 2010

কালের কন্ঠ, এই রসিকতার মানে কী?



আজকের কালের কন্ঠের স্বাধীনতা দিবস ২০১০-এর বিশেষ সংখ্যায় (পৃষ্ঠা: ৩) 'একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি' লেখায় মুক্তিযুদ্ধের অসম্ভব বিখ্যাত এই ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে। ছবিটির নীচে লেখা আছে, "ছবি: সংগৃহিত"।

এটার মানে কী! কালের কন্ঠ,
"ছবি: সংগৃহিত" লিখে কী রসিকতা করা হলো, নাকি এই কু-অভ্যাসটা প্রথম আলো থেকে শিখল?
এটা অসম্ভব বিখ্যাত একটা ছবি। এই ছবিটি উঠিয়েছেন নাইব উদ্দিন আহমদ
। এই নিয়ে আমার একটা লেখা থেকে অংশবিশেষ দিচ্ছি:
"মুক্তিযুদ্ধের তেমন বিশেষ ছবি আমাদের নাই! ওই সময় আধুনিক তো দূর অস্ত, সাধারণ ক্যামেরাই বা আমাদের দেশের কয়জনের কাছে ছিল! নাইব উদ্দিন আহমেদ। যে অল্প ক-জন মানুষ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দূর্লভ কিছু ছবি আমাদের উপহার দিয়েছেন তাঁদের একজন!
একজন মুক্তিপাগল মানুষের সবটুকু শক্তি নিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন, সামান্য একটা ক্যামেরা নিয়ে! স্টেনগানের চেয়েও ঝলসে উঠেছে তাঁর হাতের ক্যামেরা! একজন অন্য রকম যোদ্ধা!

একাত্তরের সেই ভয়াবহ দিনগুলোতে তিনি পাক আর্মি এবং এ দেশে তাদের সহযোগী রেজাকার, আল বদর, আল শামসদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বর্হিবিশ্বে পাঠিয়েছেন তাঁর দূর্লভ ছবিগুলো। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ জানতে পেরেছে পাক আর্মির নৃশংসতা, বর্বরতা! গঠিত হয়েছে জনমত, বেড়েছে আন্তর্জাতিক ধিক্কার!

সব বিশ্ববিদ্যালয় তখন পাক আর্মির টর্চার ক্যাম্প। একদিন নাইব উদ্দিন আহমেদকে আটকানো হয়। ফটোগ্রাফারের পরিচয়পত্র দেখে পাক আর্মির মেজর কাইয়ুম নাইব উদ্দিনকে বললেন, তুমি কি ক্যামেরা ঠিক করতে পারো, আমার ক্যামেরাটায় সমস্যা হচ্ছে?
নাইবউদ্দিন ক্যামেরাটা দেখেই বুঝলেন, ক্যামেরা ঠিক আছে। শুধু লক করা অবস্থায় আছে, লকটা খুলে দিলেই হয়ে যাবে। ক্যামেরার লক ওপেন করে দেখলেন, আসলেই ঠিক আছে এবং ক্যামেরায় ফিল্ম ভরা। এ সময় তিনি দেখতে পেলেন, এখানে কিছু লোককে বেঁধে রাখা হয়েছে। খুঁটির সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় এলিয়ে পড়ে আছে একজন ধর্ষিতা। কাছেই কিছু বাড়ি পুড়ছে দাউ দাউ করে।

তিনি ক্যামেরা ঠিক করার ছলে, খুব দ্রুত কিছু ছবি তুলে নিলেন পাক মেজরের ক্যামেরা দিয়েই! তারপর আবার লক করে মেজরের হাতে ক্যামেরা ফেরত দিয়ে বললেন, এখানে তো ঠিক করা সম্ভব না, ময়মনসিংহে তার অফিসে আসলে ক্যামেরা ঠিক হয়ে যাবে। পরদিন মেজর নাইব উদ্দিনের অফিসে এলে, নতুন একটা ফিল্ম কিনে আগের ফিল্মটা মিছে ছল করে রেখে দিলেন।"
বিস্তারিত এখানে

Tuesday, March 9, 2010

কালের কন্ঠ: বোধোদয়


দৈনিক কালের কন্ঠে মারাত্মক একটা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে 'আসাদ গেটে এখনো উর্দু ফলক' নিয়ে।

'মিডিয়া ওয়াচ' নামের একটি পত্রিকা এই ভুলটা তুলে ধরে। অবশ্য মিডিয়া ওয়াচ পত্রিকাটি ভুল ধরায় এতটাই ব্যস্ত ছিল আসাদ গেটে লাগানো পোস্টার এদের চোখে পড়েনি!

ফিরোজ চৌধুরী ছবিটা উঠিয়েছেন। আলোকচিত্রি, রিপোর্টার, বিভাগীয় সম্পাদক মায় এই পত্রিকার "বোধ হয়" সম্পাদক আবেদ খান, কেউ এটা লক্ষ করলেন না, আশ্চর্য!
মনে হচ্ছে উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতে থাকা একদল কিশোরের এক বালখিল্য আচরণ!
উর্দু এবং আরবীর মূল পার্থক্য হচ্ছে, উর্দুতে জের-যবর-পেশ নাই। এটা একটা বালকেরও জানার কথা।


ভাগ্যিস, "বোধ হয়" সম্পাদক আবেদ খান আবার বলে বসেননি এটাই আমার এস্টাইল- যাহা উর্দু তাহাই আরবী। তাহলে বড়ো মুশকিল হয়ে যেত।
আমি কোথাও লিখেছিলাম, প্রিন্ট মিডিয়ার শক্তি অকল্পনীয়- আজ আমাদের দেশের কয়েকজন সম্পাদক মিলে যদি ঠিক করেন আমরা পাঠক বিশেষ মুহূর্তে অন্তরঙ্গ সময় কেমন করে কাটাব, আমরা অজান্তেই তা করব।
আপনার নিজের চোখে দেখা একটা ঘটনাই আপনি পত্রিকায় পড়ে বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন আপনার দেখায় ভুল ছিল! রাতকে দিন করা এদের পক্ষেই সম্ভব!

আচ্ছা, আবেদ খানের ওই ফোনালাপ (
এটাই আমার এস্টাইল) আমি যদি এখানে আপলোড করে দেই, কেমন হয়? জানি-জানি, অনেকে ভোঁতা দা নিয়ে রে রে করে তেড়ে আসবেন। অনেকে কঠিন স্বরে আমাকে এথিকস নিয়ে জ্ঞানগর্ভ বুলি কপচাবেন। আপনাদের রাগ আমার 'সার আখো পে'- মাথায় তুলে নিলাম।
ভাল, কিন্তু পত্রিকাওয়ালারা পারলে এই যে অন্তর্বাসের লাইনিং এর সেলাইয়ের সুতোটারও খবর ছেপে দেয়, তখন নীতিবিরুদ্ধ হয় না, তখন এথিকস কোথায় থাকে? কী ভাষা, জল্লাদ তাকে কোলে করে নিয়ে গেলেন! নাকি এরা বড়ো বড়ো মানুষ বলে এদের এথিকস ...-এর আড়ালে থাকে!

কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে 'কালের কন্ঠ' সংশোধনী ছাপিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। অবাক হয়েছি এই কারণে আমাদের দেশে ভুল করে ভুল স্বীকার করার চল নাই। বিশেষ করে পত্রিকাওয়ালারা তো আরেক কাঠি সরেস! অন্তত কালের কন্ঠের কাছ থেকে এমন দায়িত্বশীল আচরণ আশা করিনি! সত্যিই অবাক হয়েছি, পত্রিকাটির প্রতি অজান্তেই খানিকটা সমীহ চলে আসে।
কী আর করা! প্রতিযোগীতায় টেকার কথা মাথায় রেখে প্রথম আলোর মত ফাজিল হতে চাচ্ছে না সম্ভবত! প্রথম আলোর একের পর এক ভুলের মিছিল কিন্তু এদের ভুল স্বীকার করার, এ পথ মাড়াবার কোন গোপন ইচ্ছাই নাই। কারণ এরা বুঝে গেছে এদের ব্যতীত আমাদের গতি নাই।

যাগ গে, যেটা বলছিলাম, আসাদ গেটের এই ছবি নিয়ে চমৎকার
একটা প্রতিবেদন হতে পারত। এটায় অসংখ্য পোস্টার লাগিয়ে রাখা হয়েছে। যা অসভ্যতারই নামান্তর! আমাদের দেশে যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে দিলে কারও কোন বিকার নাই। একজন আজ তার দেয়াল রঙ করিয়েছেন, আজই একজন এসে পোস্টার লাগিয়ে দিচ্ছে। দ-খ-ল লিখে তার দেয়ালের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে, কিচ্ছু বলার নাই!
ভ্রাম্যমান আদালত কেবল ভেজালই ধরবে কেন, কেন ধরছে এদেরকে, যারা এই পোস্টার নামের আবর্জনাগুলো লাগাচ্ছে? কঠিন কিছু না, যার পোস্টার পাওয়া যাবে তাকেই ধরে জরিমানা।

আমরা এখান থেকেই শিখি। যখন বেশি শিখে ফেলি তখন স্বাধীনতা সৌধের গায়ে কুৎসিত কথা লিখি, ততোধিক কুৎসিত ছবি আঁকি।


*ছবি সূত্র: মিডিয়া ওয়াচ

Wednesday, January 27, 2010

আবেদ খানের এস্টাইল (!)

আবেদ খানের 'বোধ হয়' লইয়া আমরা কী করিব? ইহা লইয়াই যন্ত্রণার একশেষ! মনে খানিকটা দুঃখ বোধও কাজ করিতেছিল, এমন কঠিন লিখা 'বোধ হয়' সমীচীন হইল না। একজনের স্মৃতিশক্তি দুর্বল থাকিতেই পারে, আবেদ খানেরও এমনটা হইবে না তাহা বুকে হাত দিয়া বলিতে পারি না।
ইহা আমি ব্যতীত কে বুঝিবে? অদ্যাপি বাচ্চাদের বয়স মনে রাখিতে পারি না, কেহ শেষের কবিতা কেমন লাগিল বলিলে আহাম্মকের ন্যায় বলিয়া বসি, আমি তো কবিতা বুঝি না! ভুলেও কেহ ইহা লইয়া বিশ্রম্ভালাপ করে না, এ লইয়া বিস্তর হাসাহাসি হয়! এই নিয়া অদৃষ্টকে দোষ দিয়া আজ আর কী করিব?

আজ আরেক নতুন উপদ্রব দেখা দিল। এলাকার একটি ছেলে কাজী হান্নান সে
থাকিয়া থাকিয়া কষ্টের শ্বাস ফেলিতেছিল। বেচারা সুনীলের বড়ো ভক্ত, 'কেউ কথা রাখেনি' বোধ হয় সুনীলেরই আবেদ খান ইহা নিয়া সংশয় প্রকাশ করিয়া, লিখিয়া, ছাপাইয়া দেয়ায় মনে বড়ো চোট পাইয়াছে।
আমি তাহাকে বললুম, বাপু রে, মনে কষ্ট রাখিও না, স্মৃতির উপর মানুষের কোন হাত নাই। তদুপরি মানুষটার সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক ছিল।

হান্নান চটিয়া বলিল, আমি আবেদ খানকে
গতকল্য ফোন করিয়াছিলুম। তিনি বলিলেন, "ইহাই আমার ইস্টাইল।" আপনি আমাকে বলুন, ইহা ইস্টাইল হয় কেমন করিয়া?
আমি অবিশ্বাসের হাসি হাসিলাম, বাপু, তুমি চটিয়াছ বিধায় এমনটা বলিতেছ। ইহা অসম্ভব, একজন সুশীল মানুষ আবেদ খান কখনই এমনটা বলিতে পারেন না। মানুষ মাত্রই ভুল করিয়া ভূল লিখিয়া ভুল করে।

হান্নান যখন আমার নাকের ডগায় প্রমাণ ঝুলাইয়া দিল তখন আমার আর বলার কিছুই অবশিষ্ট থাকিল না। যখন আমি নিজের কানে শুনিলাম তখন হতভম্ব হইলাম নাকি ভম্বহত(!) তাহা বলিতে পারি না। আবেদ খানের মত সুশীল একজন মানুষ এইরূপ বলিতে পারেন তাহা নিজের কানে না-শুনিলে বিশ্বাস করিতাম না!

আজ তিনি তাঁহার লেখার ইষ্টাইলের কারণে বলিতেছেন, কেউ কথা রাখেনি 'বোধ হয়' সুনীলেরই। কাল বলিবেন, 'বোধ হয়' সুনীল মরিয়া গিয়াছেন। পরশু বলিবেন, 'বোধ হয়' সুনীল চিতা হইতে সশরীরে ফিরিয়া আসিয়াছেন। তরশু বলিবেন, ...।
আমার মনে সংশয় জাগিয়াছে বলিয়া কালের কন্ঠ কি আমার এহেন বিজ্ঞাপন ছাপাইবে? "লেখার ইস্টাইল করিয়া করিয়া 'বোধ হয়' আবেদ খান উদভ্রান্ত হইয়া গিয়াছেন।"
আবেদ খানও আরেকখানা বিজ্ঞাপনে তিনি উদভ্রান্ত হন নাই এই সার্টিফিকেট ছাপাইয়া আমাদিগকে আশ্বস্ত করিবেন। সমস্যা তো নাই।

কেহ বপুষ্মান হইলেই তাহার মস্তিষ্ক বিপুল হইবে এমনটা দাবী করা চলে না। পায়ে আবর্জনা লাগিলে পা উঠাইয়া তাহা বড় জোর দেখা চলে, হাতে উঠাইলে বোকামি ফুটিয়া উঠে, নাকে নিয়া শুঁকিলে মানুষটার মস্তিষ্ক আদৌ আছে কিনা তাহা লইয়া 'বোধ হয়' সংশয় জাগে।

Tuesday, January 26, 2010

আবেদ খানের 'বোধ হয়' লইয়া আমরা কী করিব?

আবেদ খান আজকের 'কালের কন্ঠ' দৈনিকে লিখিয়াছেন,"শেষ পর্যন্ত লেখার একটা ক্ষেত্র হলো বটে, কিন্তু ভাবনা এল_লিখিটা কী!"

আবেদ খানের নাকি লিখিবার ক্ষেত্র সংকুচিত হইয়া ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্র বিচির আকার ধারণ করিয়াছে। ইহা শুনিয়া হায়েনা হাসিতে হাসিতে লেলাখেপা হইয়াছে! অবশেষে লিখিবার ক্ষেত্রের জন্য কালের কন্ঠ নামক আস্ত একখানা পরতিকা(!) নাযিল হওয়ারও প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়াছে! কলমবাজ আর কাহাকে বলে! অবশ্য কাজটা মরদের মতই হইয়াছে বটি!

আজকাল বড়ো একটা ঢং হইয়াছে, পরতিকার সম্পাদক মহাশয়গণ প্রথম পাতায় ঘটা করিয়া লিখিয়া আমজনতার উদ্দেশ্যে বাতচিত করিয়া থাকেন। এই প্রথায় আমাদের মতিউর রহমান সাহেবও পিছাইয়া নাই। সম্পাদক মহাশয় বলিয়া কথা! সে যাক, তাহারা প্রথম পাতায় লিখুন প্রয়োজনে গোটা পৃষ্ঠা জুড়িয়া, আটকাইবে এহেন বুকের পাটা কাহার?

আবেদ খান আরও লিখিয়াছেন, "'কেউ কথা রাখেনি' কবিতাটা 'বোধ হয়' সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়েরই...।"
প্রথম পাতায় তাঁহার সুদীর্ঘ এই লেখার বিশদে যাইবার আগ্রহ নাই কিন্তু তাঁহার এই 'বোধ হয়' লইয়া আমরা কী করিব, তাহা বোধগম্য হইতেছে না! ইহা কোথায় রাখিব ভাবিয়া ভাবিয়া আকূল হইয়াছি! 'বোধ হয়' তাঁহার লিখায় সন্দেহের লেশ দিব্যি লেজ গজাইয়া দিয়াছে।
আমরা যাহারা হুদাহুদি লিখিবার চেষ্টা করি, যাহাদের নেকাপড়া(!) কম, তাহারা আটকাইয়া গেলে বোধ হয় লিখিয়া গা বাঁচাইবার চেষ্টা করিয়া থাকি কিন্তু আবেদ খানের মত কলমযোদ্ধা, মসিবীর- যিনি কেবল লেখার ক্ষেত্র তৈরি করিবার মানসে একখানা দৈনিক পরতিকা(!) অবতীর্ণ করিয়া থাকেন তিনি 'বোধ হয়' লিখিয়া দায় সারিবেন কেন? এই পরতিকার(!) শতেক কলমবাজ কাহারও নিকট হইতে জানিবার উপায় কি ছিল না? তাঁহারা কী মসিলিপ্ত হইয়া নিদ্রদেবীর কোলে দোল খাইতেছিলেন?

আবেদ খান ইচ্ছা করিলে তো সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কেই একখানা ফোন লাগাইতেই পারিতেন, 'হাললু দাদা, কেম ছো? দাদা, 'কেউ কথা রাখেনি' ইহা কি আপুনি লিখিয়াছিলেন নাকি আপুনির খগের কলম'?
বেশ ফোনালাপ হইতে পারিত। সুনীল দাদা নাচিতে নাচিতে আবৃত্তি করিতেন। আয়ুষ্মান ভবঃ বলিয়া কালের কন্ঠের জন্য "আমার ভালো লাগা, গ্লানি ও স্বপ্ন" টাইপের আরেকখানি লেখা লিখিয়া ফেলিতেন।

'বোধ হয়' ইহা ভালো জিনিস বটি কিন্তু সংসদে গেজেট পাশ হইয়াছে এমন কোন লিখায় সংসদের কোন এক আইন প্রণেতা যদি লিখিয়া বসেন, "অদ্য হইতে এই আইন কার্যকরী হইল। ইহার উৎস 'বোধ হয়' সংবিধানে আছে।"
বাপস! বড়ো একটা ঝামেলা পাক খাইতে খাইতে পাকিয়া যাইবে!

আচ্ছা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে আবেদ খানের ফোন করিবার কথা যে লিখিলাম, আমি এখন কিঞ্চিৎ ধন্ধে আছি, সুনীল দাদা বাঁচিয়া আছেন তো? শুনিয়া অনেকে আমাকে গাল পাড়িবেন, মনে মনে দুগগা-দুগগা বলিবেন। আহা, ভগবান তাঁহাকে বাঁচাইয়া রাখুন কিন্তু বুঝিলেন কিনা, আমাদের মত কলমচীর এই এক হুজ্জুত, ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার। কে আমাদিগকে তথ্যের যোগান দিবে, কে সংশোধন করিয়া দিবে, কে-কে-কে? কেহ না, বাহে, কেহ না।
অতএব আমার ইহাই লেখা শ্রেয় ছিল, 'বোধ হয়' সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাঁচিয়া থাকিলে, বোধ হয় আবেদ খানের নিকট ফোন থাকিলে, বোধ হয় নেটওয়র্ক ঠিক থাকিলে, বোধ হয়...।



Get this widget | Track details | eSnips Social DNA